শরৎচন্দ্র চট্রোপ্যাধায় এর সেরা টি উক্তি - Sarat Chandra Chattopadhyay - শরৎচন্দ্র চট্রোপ্যাধায় এর কবিতা - শরৎচন্দ্র চট্রোপ্যাধায় - বাংলা বাণী ও শাশ্বত কথা
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২) অপরকে বিচার করিতে বসিয়া কোনো মানুষকেই কখনও বলিতে শুনি নাই , সে অন্তর্যামী নয় , কিম্বা তাহার ভ্রম প্রমাদ কখনও হয় । সবাই কহে , মানুষ চিনিতে তাহার জোড়া নাই এবং এ বিষয়ে সে একটা পাকা জহুরী । । অথচ স সংসারে কে কবেই যে নিজের মনটাকেই চিনিতে পারিয়াছে , তাহাই ত জানি না ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩) বিদ্যা না থাকলেই অবিদ্যে এসে জোটে । তার ফলেই মানুষ যা জানে না তাই অপরকে বেশি করে বোঝাতে চায় ।
৪) নারীর মূল্য নির্ভর করে পুরুষের স্নেহ সহানুভূতি ও ন্যায়ধর্মের ওপর ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়৫) পুরুষেরা যাহা ইচ্ছা করে , যাহা ধর্ম বলিয়া প্রচার করে , নারী তাহাই না বিশ্বাস করে এবং পুরুষের ইচ্ছাকেই নিজের ইচ্ছা বলিয়া ভুল করে এবং ভুল করিয়া সুখী হয় । হইতে পারে ইহাতে নারীর গৌরব বাড়ে , কিন্তু সে গৌরবে পুরুষের অগৌরব চাপা পড়ে না ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়৬) নারীর এক জাতীয় রূপ আছে যাহাকে যৌবনের অপর প্রান্তে না পৌঁছিয়া পুরুষ কোনোদিন দেখিতে পায় না ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়৭) ছেলে বয়সের একটা মস্ত দোষ এই যে , অনেক বই পড়ার অভিমানটা এদের পেয়ে বসে । তাই নিজের লেখার মধ্যে নিজের কিছুই থাকে না , থাকে শুধু মুখস্থ করা পরের কথা । থাকে কারণে অকারণে যেখানে সেখানে গুঁজে দেওয়া বিদ্যার বাচালতা ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়৮) যারা অধর্মকে ভয় করে না , লজ্জা ভয় যাদের নেই , প্রাণের ভয়টা যদি না তাদের তেমন বেশি থাকে , তা হলে সংসার ছারখার হয়ে যায় ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়৯) সংসারে বন্ধু সংখ্যা যাহার অপরিমিত দুঃখের দিনে ডাক দিবার মতো বন্ধুর তাহারি সবচেয়ে অভাব । শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১০) স্পষ্ট করার লোভ যাদের বড্ড বেশি , বক্তা হলে তারা খবরের কাগজে বক্তৃতা ছাপায় , লেখক হলে নিজের গ্রন্থের ভূমিকা , আর নাট্যকার হলে তারাই সাজে নিজের নাটকের নায়ক ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১১) চটুল বাক্যের নানা অলঙ্কার গায়ে আমাদের জড়িয়ে দিয়ে যারা প্রচার করেছিল মাতৃত্বই নারীর চরম সার্থকতা , সমস্ত নারীজাতীকে তারা বঞ্চনা করেছিল ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১২) সর্বপ্রকার মতকেই শ্রদ্ধা করতে পারেন কে জানেন ? যার নিজের মতের বালাই নেই । শিক্ষার দ্বারা বিরুদ্ধ মতকে নিঃশব্দে উপেক্ষা করা যায় ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়১৩) প্রায় কোনো দেশেই পুরুষ নারীর যথার্থ মূল্য দেয় নাই ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৪) বিরাগ - বিদ্বেষ নিয়ে বিচার করতে গেলে কেবল একপক্ষই ঠকে না , অন্য পক্ষও ঠকে ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়১৫) যে সকল ব্যাপার সচরাচর এবং সহজভাবে ঘটে না এবং যাহার মধ্যে পাপ আছে , তাহা তলাইয়া বুঝিতে না পারিলেও সকলেই নিজের বুদ্ধি অনুসারে একরকম করিয়া বুঝিতে পারে ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়১৬) মনই যদি দেউলে হয় , পুরুতের মন্ত্রকে মহাজন খাড়া করে সুদটা আদায় হতে পারে , কিন্তু আসল ত ডুবল ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়১৭) যে লোক দাবী করতে ভয় পায় , পরের দাবী মেটাতেই তার জীবন কাটে ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮)বড়ো দুঃখ ছাড়া কোনোদিন কোনো বড়ো জিনিস লাভ করা যায় না ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়১৯) মনের বার্ধক্য আমি তাকেই বলি ... যে মন সুমুখের দিকে চাইতে পারে
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২০)চান না , যার অবসন্ন , জরাগ্রস্ত মন ভবিষ্যতের সমস্ত আশায় জলাঞ্জলি দিয়ে কেবল অতীতের মধ্যেই বেঁচে থাকতে চায় ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২১) পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব সতীত্বের চেয়ে বড়ো ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২২) সমাজে নারীর স্থান অবনত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের স্থান আপনি নামিয়া আসে ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২৩)পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে না রাখলেই সে গেল । সংসার করতে আর যাই কেন না ভোলো , কখনও এ কথাটি ভুলো না ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২৪) পৃথিবীতে এমন একটা দেশ পাওয়া যাবে না যারা মেয়েদের মানুষ হবার স্বাধীনতা হরণ করেনি , অথচ তাদের মনুষ্যত্বের স্বাধীনতা অপর কোনো প্রবল জাত কেড়ে নিয়ে জোর করে রাখতে পেরেছে । এত চালুচ মাতাল তার মাতাল - বন্ধুকে যত ভালোবাসুক না কেন , নির্ভর করবার বেলায় করে শুধু যে মদ খায় না ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৫) মানুষের শক্তি যত কমে আসে মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে ওঠে ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২৬) একলা মানুষের আন্তরিকই ইচ্ছাশক্তি এত বড়ো যে তার পরিমাণ হয় না । ঠিক বামনদেবের পায়ের মতো । বাইরে থেকে সে দেখতে ছোটো কিন্তু সেই ক্ষুদ্র পদতলটুকু প্রসারিত হলে বিশ্ব আচ্ছন্ন করে দেয় ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২৭) মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পাওয়াকেই যথার্থ মানুষ হওয়া বলে ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়২৮) পুরুষের চরম ও পরম প্রয়োজনেই রমণীর শিক্ষা ও স্বা ও স্বাধীনতার প্রয়োজন ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৯) কেহ বলে বাল্য প্রেমে অভিসম্পাত আছে , কেহ বলে বাল্য প্রেম দৃঢ় হয় না , কেহ বলে দৃঢ় হয় । যাহাই হোক , এ বিষয়ে ঠিকঠাক একটা কোনোরূপ বন্দোবস্ত করা নাই । সকল রকমই হইতে পারে , কিন্তু যাহাই লাহোক , ইহার একটা স্মৃতি চিরদিনের জন্য ভিতরে রহিয়া যায় । যেমন করিয়া উপড়াইয়া ফেলিয়া দেওয়া হোক না কেন , একটু ক্ষুদ্রতম শিকড় করিলে অনেক হাত জমির তলে পাওয়া যায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
0 মন্তব্যসমূহ