অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস – ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 8 History

ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন (সপ্তম অধ্যায়) | West Bengal Class 8(Eight) History


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর : ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন (সপ্তম অধ্যায়) West Bengal Class 8 History : WBBSE Class 8 History Question and Answer, Suggestion, Notes – অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস আন্দোলনের সময় – ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 8 History নিচে দেওয়া হলো। এই অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন (সপ্তম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 8th Eight VIII History Examination – পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন (সপ্তম অধ্যায়) – অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজেছেন , তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 




প্রশ্ন:মাস্টারদা নামে কোন বিপ্লবী পরিচিত ছিলেন ?

উত্তর: বিপ্লবী সূর্যসেন


প্রশ্ন: খান আবদুল গফফর খানের গান্ধীবাদী সংগঠনটির নাম কি ছিল?

উত্তর: খুদা ই- খিদমতগার



প্রশ্ন:খুদা ই- খিদমতগার কথাটির অর্থ কি ?

উত্তর: ঈশ্বরের সেবক



প্রশ্ন: খান আবদুল গফফার খান কি নামে অধিক বিখ্যাত হয়েছিলেন ?

উত্তর: সীমান্ত গান্ধী



প্রশ্ন:কবে কার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রগার  লুণ্ঠন করা হয়?

উত্তর:১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ১৮ই এপ্রিল সূর্যসেনের নেতৃত্বে।



প্রশ্ন:হিন্দুস্তান রিপাবলিকান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?

উত্তর: চন্দ্রশেখর আজাদ




প্রশ্ন:কাকোরি ষড়যন্ত্র কি ?

উত্তর: কাকোরি স্টেশনের রেল ডাকাতির অভিযোগে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার রুজু করা মামলা ।



প্রশ্ন: ভগৎ সিং এর বিখ্যাত স্লোগান কি ছিল ?

উত্তর: ইনক্লাব জিন্দাবাদ বা বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক




প্রশ্ন: ভারত ছাড়ো আন্দোলন বিখ্যাত স্লোগান কি ছিল?

উত্তর: করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে।



প্রশ্ন:কে কারেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে বলে আন্দোলনের ডাক দেন?

উত্তর:মহাত্মা গান্ধী



প্রশ্ন:ভারতছাড়ো আন্দোলন কত খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় ?

উত্তর: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে




প্রশ্ন:ক্রিপস মিশন কবে ভারতে আসেন ?

উত্তর: 1942 খ্রিস্টাব্দে


প্রশ্ন: কোন কংগ্রেস অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ?

উত্তর: হরিপুর কংগ্রেস ও ত্রিপুরী কংগ্রেস




প্রশ্ন:আজাদ হিন্দ ফৌজ কবে গঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে সিঙ্গাপুরে আজাদ 



প্রশ্ন:হিন্দ ফৌজের সংগঠক কারা ছিলেন?

উত্তর: ক্যাপ্টেন মোহন সিং ও রাজবিহারী বসু।




প্রশ্ন:INA-র স্লোগান কি ছিল ?

উত্তর: দিল্লি চলো



প্রশ্ন:আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনীর নাম কি ?

উত্তর: রানী ঝাসি বাহিনী



প্রশ্ন:দেশত্যাগ করার সময় সুভাষচন্দ্র কি নাম গ্রহণ  করেন? 

উত্তর: মহম্মদ জিয়াউদ্দিন






প্রশ্ন:প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সহায়তার পুরস্কারস্বরূপ যেসব দাবিদাওয়া ভারতীয় রাজনীতিবিদরা করেছিলেন , সেগুলি পুরণ না হলে ভারতে কোন আন্দোলন শুরু হয় ? 

উত্তর :



প্রশ্ন:মন্টেগু - চেমসফোর্ড সংস্কার আইন কত খ্রিস্টাব্দে পাস করা হয় ? 

উত্তর : ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে আইনটি পাস হয়


প্রশ্ন:গান্ধিজির মতে , মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী হওয়া উচিত ? 

উত্তর : সত্যানুসন্ধান বা সত্যের খোঁজ করা।



প্রশ্ন:গান্ধিজির স্বরাজ বিষয়ক সামাজিক আদর্শগুলির কথা তাঁর কোন প্রবন্ধ থেকে জানা যায় ? 

উত্তর : হিন্দ স্বরাজ



প্রশ্ন:গান্ধির স্বরাজ ভাবনার অন্যতম প্রধান অঙ্গ কী ছিল ? 

উত্তর : খাদির পোশাক ব্যবহার ও চরকা কাটা



প্রশ্ন:বিহারের কোন অঞ্চলে নীলচাষ - বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল ? 

উত্তর : চম্পারনে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।



প্রশ্ন:গুজরাটের খেড়া জেলার আন্দোলনের মূল কারণ কী ছিল ? 

উত্তর : কৃষকদের উপর বাড়তি রাজস্ব আরোপ।



প্রশ্ন:কার নেতৃত্বে রাওলাট আইন পাস হয় ?

উত্তর :  এস এ টি রাওলাট



প্রশ্ন: রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরের আন্দোলন কবে শুরু হয় ? 

উত্তর : ৬ এপ্রিল দল



প্রশ্ন:জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড কবে সংঘটিত হয় ? 

উত্তর: ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ১৩ই এপ্রিল



প্রশ্ন:কত খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তুরস্কের সুলতানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে ? 

উত্তর: ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন:খিলাফৎ কমিটি কবে গঠিত হয় ? 

উত্তর: ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসে.


প্রশ্ন:অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় কবে ? 

উত্তর: ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে


প্রশ্ন:অসহযোগ আন্দোলনের দুটি ধারা কী কী ? 

উত্তর : স্বদেশী ও বয়কট ।


প্রশ্ন:কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন গান্ধিজি ? 

উত্তর: চৌরিচৌরার ঘটনা ।


প্রশ্ন:চৌরিচৌরার ঘটনা কত তারিখে ঘটেছিল ? 

উত্তর: ১৯২২ ৫ই জানুয়ারি ।


প্রশ্ন:কংগ্রেস - খিলাফৎ স্বরাজ্য দল কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে।


প্রশ্ন:স্বরাজ্য দলের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?

উত্তর: চিত্তরঞ্জিন দাস ও মতিলাল নেহেরু ।


প্রশ্ন: কার নেতৃত্বে সাইমন কমিশন ভারতে আসে ? 

উত্তর: স্যার জন সাইমন


প্রশ্ন: কেন ভারতের রাজনৈতিক সংগঠনগুলি সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করে ? 

উত্তর: সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় সদস্যকে গ্রহণ না করার কারণে ।



প্রশ্ন:সাইমন কমিশন - বিরোধী আন্দোলনের স্লোগান কী ছিল ? 

উত্তর: সাইমন ফিরে যাও



প্রশ্ন: গান্ধিজির নেতৃত্বে কত খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজের দাবি উত্থাপন করে ? 

উত্তর: ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন: আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয় কোন স্থান থেকে ?  

উত্তর: গুজরাটের ডান্ডি।


প্রশ্ন: কে, কবে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেন ? 

উত্তর: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ৬ এপ্রিল গান্ধীজি


প্রশ্ন:আইন অমান্য আন্দোলনের প্রথম পর্যায় কত খ্রিস্টাব্দে , কোন্ সন্ধির দ্বারা শেষ হয় ?

উত্তর : ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে গান্ধী- আরউইন চুক্তির দ্বারা ।



প্রশ্ন:দ্বিতীয় পর্যায়ের আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয় কবে ? 

উত্তর : ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন:দ্বিতীয় পর্যায়ের আইন অমান্য আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে কবে ?

উত্তর : ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে



প্রশ্ন:আইন অমান্য আন্দোলনের একজন নেত্রীর নাম লেখো ?

উত্তর : সরোজিনী নাইডু



প্রশ্ন: গান্ধী আরউইন চুক্তির অপর নাম কি?

উত্তর: দিল্লি চুক্তি



প্রশ্ন:গান্ধীজী কত খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসেন ?

উত্তর:১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ।



প্রশ্ন:গান্ধীর কাছে চরকা কিসের প্রতীক ছিল ?

উত্তর: অর্থনৈতিক

আত্মনির্ভরশীলতার।



প্রশ্ন:' হিন্দ স্বরাজ ' গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তর: মহাত্মা গান্ধীর লেখা



প্রশ্ন:ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজিকে কি উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ?

উত্তর :কাইজার ই হিন্দ



প্রশ্ন:প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কোন বছর শুরু হয়

উত্তর: ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন: রাওলাট সত্যাগ্রহ কত খ্রিস্টাব্দে হয় ?

উত্তর: ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন:কে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদে স্যার (নাইট) উপাধি ত্যাগ করেন ?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



প্রশ্ন:অসহযোগ আন্দোলনের সময়কাল লেখ।

উত্তর:১৯২০ থেকে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন:কবে লবণ আইন ভঙ্গ করেন গান্ধিজি ?

উত্তর: ৬ এপ্রিল ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে



প্রশ্ন:কার নেতৃত্বে জালালাবাদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ?

উত্তর: সূর্য সেনের নেতৃত্বে


জালালাবাদের যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়

উত্তর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে


প্রশ্ন:১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সচিব কে ছিলেন?

উত্তর: মন্টেগু


প্রশ্ন:মহাত্মা গান্ধী 'হিন্দ স্বরাজ ' নামক প্রবন্ধটির কবে প্রকাশ করেন ?

উত্তর:১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবন্ধটি প্রকাশ করেন ।


প্রশ্ন: কার নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় হয় ?

উত্তর: কমান্ডার মাইকেল ডাযার।



প্রশ্ন: কংগ্রেসের কোন অধিবেশনে গান্ধীজীর পূর্ণ স্বরাজ দাবি তোলেন?

উত্তর: লাহোর অধিবেশন ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে।


প্রশ্ন: সুভাষচন্দ্র বসু আইসিএস পরীক্ষায় কত সালে উত্তীর্ণ হন?
উত্তর: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে


প্রশ্ন: সুভাষচন্দ্র বসু কতবার কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন ?

উত্তর: দুইবার 



প্রশ্ন: ফরওয়ার্ড ব্লক কত খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয় ?

উত্তর: ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে। 


প্রশ্ন: সুভাষচন্দ্র আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব কবে গ্রহণ করেন ? 
উত্তর: ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ২২ শে অক্টোবর



প্রশ্ন: সুভাষচন্দ্র কবে দেশ ত্যাগ করেন?

উত্তর: ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ১৬ই জানুয়ারি


প্রশ্ন:;অসমে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী কে ছিলেন ?

উত্তর: কনকলতা বড়ুয়া


সংক্ষিপ্ত ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন: জালালাবাদের যুদ্ধ সম্পর্কে কি জান লেখ ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিহাসে মাস্টারদা ও সূর্য সেন এবং তার নেতৃত্বে সংঘটিত চট্টগ্রাম অস্ত্রগার লুণ্ঠন ও জালালাবাদের যুদ্ধ ছিল ইতিহাস এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।


১) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসে সূর্য সেন এর নেতৃত্বে গণেশ ঘোষ লোকনাথ বল প্রমুখ  প্রায় ৬৪ জন বিপ্লবদের একটি দল চট্টগ্রাম অস্ত্রগার লুণ্ঠন করে এবং সেখানে অস্থায়ী স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়।


২) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঠিক পরেই বিপ্লবীরা পার্শ্ববর্তী জালালাবাদের  পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে ব্রিটিশ সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে তাদের যে সংগ্রাম হয় তা জালালাবাদের  যুদ্ধ নামে পরিচিত । ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী জালালাবাদের পাহাড়ে  আক্রমণ চালালে বহু বিপ্লবী প্রাণহারা।


৩) জালালাবাদের যুদ্ধে বিপ্লবীদের পরাজয়ের পর ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসি হয়।


প্রশ্ন: কাকে কেন সীমান্ত গান্ধী বলা হত ?

উত্তর: খান আবদুল গফফর খানকে 'সীমান্ত গান্ধী' বলা হত ।

খান আবদুল গফফর খান ছিলেন গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে আন্দোলন করেছিলেন বলে তাকে সীমান্ত গান্ধী বলা হত। তার নেতৃত্বে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলে অমান্য আন্দোলন প্রবল প্রকার আকার ধারণ করে ।



প্রশ্ন:১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ কেন ? 

উত্তর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি কংগ্রেসের কার্যনির্বাহক সমিতির বৈঠকে প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ‘ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এর মূল উদ্দেশ্য ছিল লাহোর কংগ্রেসে ( ১৯২৯ খ্রি . ) গৃহীত পূর্ণ স্বরাজের আদর্শকে ভারতবাসীদের নিকট জনপ্রিয় করে তোলা ।

 এই উদ্দেশ্য রূপায়ণের জন্য গান্ধিজি একটি শপথবাক্য রচনা করেন , যাতে বলা হয়— স্বাধীনতা ভারতবাসীর জন্মগত অধিকার এবং দেশের সরকার যদি ভারতবাসীকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে , তাহলে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করার অধিকার ভারতের জনগণের আছে । এই শপথগ্রহণের পর ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি জওহরলাল নেহরু ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতের স্বাধীনতা দিবস ’ বলে ঘোষণা করা হয় । সেই দিন থেকেই ২৬ জানুয়ারি তারিখটি স্বাধীনতা দিবস রূপে পালিত হতে থাকে । তবে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ‘ প্রজাতন্ত্র দিবস ’ রূপে পালিত হয়ে আসছে । 


টীকা লেখো:  জালালাবাদের  যুদ্ধ
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ইতিহাসে মাস্টারদা সূর্য সেন এবং তার নেতৃত্বে সংঘটিত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ও জালালাবাদ এর যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসে সূর্য সেনের নেতৃত্বে গণেশ ঘোষ, লোকনাথ বল প্রমুক প্রায় ৬৪ জন একটি দল বিপ্লবীদের একটি দল চট্টগ্রাম অস্ত্র কার লুণ্ঠন করে এবং সেখানে 'অস্থায়ী স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঠিক পরেই বিপ্লবীরা পার্শ্ববর্তী জালালাবাদ এর পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের যে সংগ্রাম হয় তা জানালাবাদের যুদ্ধ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী জালালাবাদ এর পাহাড়ে আক্রমণ চালালে বহু বিপ্লবীর প্রাণ হারানো।

টীকা লেখো:-

২) কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশন গুরুত্ব।
1929 খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে পন্ডিত জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে লাহোরের জাতীয় কংগ্রেসের যে বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তার লাহোর অধিবেশন নামে খ্যাত।
১) এই অধিবেশনে নবনিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জওহরলাল  নেহরুর সভাপতিত্বে  'পূর্ণ স্বরাজ' এর দাবি উত্থাপন করা হয়।
২) নেহেরু রিপোর্টে প্রস্তাবিত ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস কংগ্রেস গ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা করা হয়।
৩) এই অধিবেশনে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ভবিষ্যৎ নির্বাচন থেকে বিরত থাকাতে ও সক্রিয় রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তাব দেয়।
৪) কংগ্রেস সমগ্র জাতির প্রতি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলনের আহ্বান  জানান।
৫) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদ বর্জন করার নির্দেশেও দেওয়া হয়েছিল এই অধিবেশনের প্রস্তাব।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ