My Life Story Sanjay kotal

আমাদের বড় এবং ঐক্যবদ্ধের মত পরিবার 


আমাদের পরিবার একটি বৃহৎ এবং সুসংগঠিত পরিবার, যেখানে ভালোবাসা বলতে কি, তার জানি না , সম্মান, এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সব সময় প্রধান ভূমিকা পালন করে। আমাদের পরিবারের মূল ভিত ছিলো নিয়ম মেনে চলা। ভালোবাসা কাকে বলে তা  বুঝতাম না , শুধুমাত্র বাবা আমাকে সবচেয়ে ভালো বাসতে এটা শুধু মনে পড়ে। 


আমার বাবা, দুঃখ ভঞ্জন কোটাল, তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ। বড় জ্যাঠা শ্রী সুবল চন্দ্র কোটাল এবং মেজো জ্যাঠা শ্রী জগদীশ কোটালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো কিন্তু অত্যন্ত ভয় পেতাম এবং শ্রদ্ধার করতাম । আমরা একসঙ্গে এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ।  


বড় জ্যাঠার পরিবার (শ্রী সুবল চন্দ্র কোটাল) বড় জ্যাঠার পরিবারে রয়েছে তিন সন্তান:  

1. নিমল কোটাল: পরিবারের সবার বড় ছেলে এবং অভিভাবকতুল্য। তার দায়িত্বশীল মনোভাব আমাদের চোখে পড়ে, রাগও ছিল সবথেকে বেশি, কি কারনে জানিনা, পরিবারের মঙ্গলের ভিত্তি।  

2. সুভদ্রা কোটাল: একমাত্র মেয়ে, পরিবারের গর্ব এবং ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। তার শান্ত স্বভাব এবং হাসিমুখ সবার কাছে অনুপ্রেরণার।  


3. উত্তম কোটাল: জ্যাঠামশাই ছোট ছেলে এবং বুদ্ধিতে খুব বেশি টাকা ইনকামের জন্য ছোট থেকেই ছোট ছোট ব্যবসা , বড় ব্যবসা করে জানিনা কতটা উন্নতি করতে পেরেছি। 


মেজো জ্যাঠার পরিবার (শ্রী জগদীশ কোটাল) জেঠিমার নাম (আরতি কোটাল )

মেজো জ্যাঠার পরিবারেও রয়েছে তিন সন্তান:  

1. মিঠু কোটাল:বড় মেয়ে, যতটা মনে আছে একটু বোকা ধরনের কারণ নবম শ্রেণীতে তিন বার ফেল করে, মাধ্যমিকে দুবার, কি কারনে ফেল করত আমার জানা নেই।।


 2. গৌতম কোটাল: একমাত্র ছেলে, যিনি কঠোর পরিশ্রমী , আমার সাথে সম্পর্ক ভালো ছিল, বন্ধুত্ব ছিল আমার অনেক বেশি । এখন সম্পর্ক ভালো নেই।


3. রীতা কোটাল: ছোট মেয়ে, যিনি তার চঞ্চলতা এবং প্রাণবন্ত স্বভাবের জন্য পরিবারের ছোট মেয়ে । ডাক নাম পুটি।


আমাদের পরিবার: বাবা (শ্রী দুঃখ ভঞ্জন কোটাল ,  (মা মীরা কোটাল,) আমাদের পরিবার তিন ভাইয়ের নিয়ে গঠিত:  

1. রঞ্জিত কোটাল: আমার বড় ভাই, যিনি পরিবারের অভিভাবকের মতো। কিন্তু অভিভাবকের কোন কাজ করেনি তার দায়িত্বশীলতা নিই বললেই চলে, সর্বদা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।   

2. আমার নাম সঞ্জয় কোটাল: আমি, পরিবারের মধ্যম সন্তান, পরিবারের এবং সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমার সম্বন্ধে তো বলবই এখন না।

3. দেবাশীষ কোটাল: ছোট ভাই, (দেবু) পরিবারের সবার ছোট। তার দায়িত্ব ছিল আমার উপর ,আগলে রাখার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি পরিবেশ ও পরিস্থিত দোষে।


আমাদের বড় জেঠিমা, কোনো এক অজানা কারণে বিষ (ফোলিড়োল) খেয়ে মারা যান। সেই খবরটা প্রথম আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে গ্রামের খাঁদা কাকু। তখন আমরা কলকাতার বাগমারীতে থাকতাম, সাত করি মিলে লেনে, কলকাতা -৫৪। কাকা বাড়িতে ঢুকেই কথাটা বলে  অজ্ঞান হয়ে যান। সেদিনের সেই দৃশ্য আমি কখনো ভুলতে পারি নি।


জেঠিমার মৃত্যুর পর, দেশের সব দেখাশোনার দায়িত্ব এসে পড়ে আমার মা এবং মেজো জেঠিমার ওপর। সেই সময় থেকেই তিন মাস অন্তর তাদের দেশে গিয়ে সব সামলাতে হতো। আমাদের তখন বয়স কম, নিজের কাজ নিজে করার মতো অভ্যাস তখনো হয়নি। তাই তাদের অনুপস্থিতিতে আমাদের নিজেদের দায়িত্ব, নিজেরাই নি।    

ছোট একটা বয়সে এই দায়িত্ব নেওয়া সহজ ছিল না। মাঝে মাঝে খুব অসহায় লাগত।  কিন্তু দেশের দায়িত্বের কারণে তাদের যেতেই হতো। আমি জানতাম, সেটা আমাদের পরিবারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবুও, সেই একাকিত্ব, সেই চাপ... এখনো মনে হলে মনটা ভারী হয়ে যায়।

আমার 






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ