শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের অমৃত বাণী (Amrit Bani of Ramakrishna)


শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম

পিতা নামক্ষুদিরাম

মাতা নাম —চন্দ্রমণি




 

                   বানী (১)
জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লা গুলো ধুয়ে ফেলতে হবে যে বাবা, মনে যতক্ষণ কাম, কোদ্ধ, লোভের বাস সেখানেই সর্বনাস।”

— শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের বাণী

                       বানী (২)

সংসার ধর্ম ত্যাগ ছাড়াও ঈশ্বর প্রাপ্তি সম্ভব তবে তা শুধুই ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও নিষ্কাম কর্মের দ্বারা, এই পথ বড়ই কঠিন।”
     — শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের বাণী

                       
              বানী (৩)
যতক্ষণ তোমার সঙ্গে বাসনা, ততক্ষনই
 ভাবনা আর এই ভাবনাই হল দুঃখ কষ্ট মোহ মায়ার কারণ
      —  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের বাণী

                  


                   বাণী (৪)
তুমি জীবনে যে কাজই করো না কেন, নিজের মন কে সর্বদা ঈশ্বরের প্রতি সমরর্পিত রেখো তাহলে মনের মধ্যে শান্তি পাবে সাহস পাবে।”
          — শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের বাণী

                   


                    বাণী (৫)
মনের যেমন বন্ধন আছে তেমন মনের মুক্তি ও আছে, এই সংসারে নয় তুমি ঈশ্বর প্রেমে নিজের চেতনা কে মুক্ত করবে নয় তুমি সংসারের বন্ধনে বন্দী হবে।
  —শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





                     বাণী (৫)
তোমার মন কে ভেদা ভেদ শূন্য করতে শেখ তবেই তুমিও যে কোন কাজের মধ্যেই ভক্তি রস খুজে পাবে।”
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





                    বাণী (৬)
 ঈশ্বরেতে সব মন দাও , তার প্রেমসাগরে ঝাঁপ দাও । এ সমুদ্রে ডুব দিলে মরবার ভয় নাই , 
এ যে অমৃতের সাগর ।
—শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




                         বানী (৭)
 ‘ সংসার আর মুক্তি দুই ঈশ্বরের ইচ্ছা । তাঁর মায়াতে সংসারী জীব কামিনী কাঞ্চনে বন্ধ আবার তিনি ইচ্ছা করে যখন ডাকবেন তখন মুক্তি হবে । তাঁর দয়া হলেই মুক্তি তিনি ভববন্ধনের বন্ধনহারিণী তারিণী । 
—শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




বানী (৮)
কেউ ঐশ্বর্যের - বিভব , মান , পদ ; এই সবের অহঙ্কার করে । এই সব দুই দিনের জন্য ; কিছুই সঙ্গে যাবে না । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




    বাণী (৯)
এক হাতে কর্ম কর , আর এক হাতে ঈশ্বরকে ধরে থাকো , কর্ম শেষ হলে দুই হাতে ঈশ্বরকে ধরবে । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




বানী (১০)
প্রদীপের সামনে বসে কেউ বা ভাগবত পড়ছে , আর কেউ বা জাল করছে ; প্রদীপ নির্লিপ্ত । সূর্য শিষ্টের উপর আলো দিচ্ছে আবার দুষ্টের উপরও দিচ্ছে ।
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




             বাণী (১১)
 আমার জিনিস , আমার জিনিস , বলে— সেই সকল জিনিসের নাম মায়া , সবাইে ভালবাসার নাম দয়া । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী
— Sri Ramakrishna Paramahamsa




                        বাণী(১২)
শিব ও শক্তি ভিন্ন জগতে কেউ নেই ।  
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




বাণী (১৩)
      ধ্যান করবে মনে , বনে আর কোণে ।
  —শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




 বাণী (১৪)
              অনুরাগ হলে ঈশ্বর লাভ হয় । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী

 আরো পড়ুন- শ্রীমা সারদা দেবীর অমৃত বাণী

 
              - বাণী (১৫)
ভক্তের ভাব হচ্ছে – প্রভু , আমি তোমার দাস , তুমি মা , আমি তোমার সন্তান , আবার তুমি আমার সন্তান , আমি তোমার পিতামাতা । তুমি পূর্ণ , আমি তোমার অংশ । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




                              বাণী (১৬)
চাঁদা মামা যেমন সব শিশুর মামা , তেমনি ঈশ্বর সকলেরই আপনার ; তাঁকে ডাকবার সকলেরই অধিকার আছে । যে ডাকবে , তিনি তাকেই দেখা দিয়ে কৃতার্থ করবেন । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




                        বাণী (১৭)
সংসার করো না কেন , তাতে দোষ নাই । তবে ঈশ্বরেতে মন রেখে করো , জেনো যে বাড়িঘর পরিবার আমার নয় , এ সব ঈশ্বরের । আমার ঘর ঈশ্বরের কাছে । আর বলি যে , তাঁর পাদপদ্মে ভক্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে সর্বদা প্রার্থনা করবে ।
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী

           


                        বাণী (১৮)
 সব কাজ করবে কিন্তু মন ঈশ্বরেতে রাখবে । স্ত্রী , পুত্র , বাপ , মা — সকলকে নিয়ে থাকবে ও সেবা করবে । যেন কত আপনার লোক । কিন্তু মনে জানবে যে , তারা তোমার কেউ নয় । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





                          বাণী (১৯)
বড়লোকের বাড়ির ঝি চাকর কাজ করবার সময় ভাবে সবই মনিবের কার্য , নিজের কিছুই নয় । তেমনি সংসারে থেকে কাজ করতে করতে মনে করবে সবই তাঁর ঈশ্বরের কাজ , নিজের বলতে কিছুই নাই ।
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী

                      


                        বাণী (২০)
 ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে । বিপদ , শোক , তাপ — এ - সবে অধৈর্য হয়ে যাবে । আর যত বিষয় - চিন্তা করবে ততই আসক্তি বাড়বে । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





                       বাণী (২১)
বিবেক - বৈরাগ্য লাভ করে সংসার করতে হয় । সংসার - সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে । বিবেক - বৈরাগ্য হলুদ গায়ে মেখে জলে নামলে কুমিরের ভয় থাকে না । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





                           বাণী (২২)
ঈশ্বর কি ঐশ্বর্যের বশ ? তিনি ভক্তির বশ । তিনি কী চান ? টাকা নয় — ভাব , প্রেম , ভক্তি , বিবেক , বৈরাগ্য — এই সব চান । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




                            বাণী (২৩)
তিন টান একত্র হলে তবে তিনি দেখা দেন — বিষয়ীর বিষয়ের উপর , মায়ের সন্তানের উপর , আর সতীর পতির উপর টান ।
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বানী  



 
                   বাণী(২৪)
কখনও ভগবান চুম্বক ,ভক্ত ছুঁচ । আবার কখনও ভক্ত চুম্বক পাথর হন , ভগবান ছুঁচ হন । ভক্তের এমনই আকর্ষণ যে তার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে ভগবান তার কাছে গিয়ে পড়েন । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী




                          বাণী (২৫)
প্রেম রজ্জুর স্বরূপ । প্রেম হলে ভক্তের কাছে ঈশ্বর বাঁধা পড়েন , আর পালাতে পারেন না । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী






                             বাণী (২৬)
বদ্ধজীবেরা ঈশ্বরচিন্তা করে না । যদি অবসর হয় তাহলে হয় আবোল - তাবোল ফালতু গল্প করে , নয় মিছে কাজ করে । 
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





                           বাণী (২৭)
যত লোক দেখি , ধর্ম ধর্ম করে — এ ওর সঙ্গে ঝগড়া করছে , ও ওর সঙ্গে ঝগড়া করছে । হিন্দু , মুসলমান , ব্রহ্মজ্ঞানী , শাক্ত , বৈষ্ণব , শৈব — সব পরস্পর ঝগড়া । এ বুদ্ধি নাই যে , যাঁকে কৃষ্ণ বলছ , তাঁকেই শিব , তাঁকেই আদ্যাশক্তি বলা হয় , তাঁকেই যীশু , তাঁকেই আল্লা বলা হয় । এক রাম তাঁর হাজার নাম । এরকম মনে করা ভাল নয় যে , আমার ধর্মই ঠিক , আর অন্য সকলের ধর্ম ভুল । সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায় । আন্তরিক ব্যাকুলতা থাকলেই হল । অনন্ত পথ — অনন্ত মত । 


                   বাণী (২৮)
" পঞ্চভূতির ফাঁদে ব্রহ্ম পরে কাঁদে "
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী


আমি কি হার ,না মাংস না রক্ত ,না নারী ভুঁড়ি ?  আমি  খুঁজতে খুঁজতে তুমি এসে পড়ো অর্থাৎ অন্তরের সেই ঈশ্বরের শক্তি বই আর কিছুই  নাই আমি নাই- তিনি।
- শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী





আরো পড়ুন - আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস
 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ