প্রথম ভারতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রীইন্দিরা গান্ধীর জীবনী

         ইন্দিরা গান্ধীর জীবনী 



আরো পড়ুন--
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী
এ পি জে আবদুল কালাম
ইন্দিরা গান্ধী এক অবিস্মরনীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব । তিনি ছিলেন পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ।
তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে ভারত একাধিক দিক চিহ্ন স্থাপন করে । অসীম সাহসিকতার প্রতীক ইন্দিরাকে লৌহমানবী বলা হয়েছে । ইন্দিরার জীবন নানা বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ । তাঁকে অনেক উত্থান - পতনের সামনে দাঁড়াতে হয়েছে । তা সত্ত্বেও তিনি কখনো ভেঙে পড়েননি । এটাই বোধহয় তাঁর চরিত্রের সবথেকে বড়ো বৈশিষ্ট্য । যে পরিবারটির সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত সেটি হল নেহেরু পরিবার । এই পরিবারের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব মতিলাল নেহেরু একসময় জাতীয় । কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা ছিলেন । তাঁর পুত্র জওহরলাল হলেন ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ।
জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন । তিনি বিজ্ঞানমনস্ক এবং প্রগতিপন্থী মানুষ । নির্জোট সম্মেলনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছিলেন । আজ ভারত যে বিশ্বের অন্যতম শক্তি ধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে , তার অন্তরালে আছেন ওই মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব । জওহরলালের কন্যা ইন্দিরা , ছোটো থেকেই রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যে বড়ো হয়ে ওঠেন । তাঁর বাড়িতে তদানীন্তন ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়মিতভাবে আসতেন । তাঁদের সান্নিধ্যে আসার ফলে ইন্দিরা অল্পবয়সেই প্রাপ্তমনস্ক হয়ে উঠে ছিলেন । শুধু তাই নয় , পিতার সান্নিধ্য এবং সহযোগিতা তাঁকে প্রাণিত ও উৎসাহিত করেছিল । 
ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম হয় ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর । 
তিনি ছিলেন বাবা জওহরলাল এবং মা কমলা নেহেরু একমাত্র কন্যাসন্তান ।
 তাঁকে আদর করে নেহেরু ইন্দু নামে ডাকতেন । অসামান্য রুপসী বলে তাঁকে বলা হত প্রিয়দর্শিনী । বালিকা বয়স থেকে তিনি বিভিন্ন শিক্ষালয়ে পড়াশোনা করার বিরলতম সৌভাগ্য অর্জন করেছেন । আমরা জানি যে কোনো বিশিষ্ট শিক্ষানিকেতনের একটি নিজস্ব শিক্ষাদর্শন থাকে । এই দার্শনিক সত্তা আমাদের স্বাধীনচেতা হতে সাহায্য করে । যাতে আমরা জীবনে চলার পথে কখনো কোনো প্রতিবন্ধকতার সামনে অবনত মস্তক না হই , সেই সুশিক্ষা দেয় । আমাদের সৌভাগ্য যে , পরবর্তী কালে যাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে আসিন হতে হবে , সেই ইন্দিরা কিন্তু একাধিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবার সুযোগ পেলেন । পড়াশোনা করেছেন পুনা , শান্তিনিকেতন , সুইজারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে । পুনায় বুনিয়াদিশিক্ষায় হাতে খড়ি হয়েছিল । তাঁর পিতা জওহরলাল নেহেরুর একান্ত ইচ্ছা ছিল ইন্দিরা যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবর্তিত ব্রহ্মচর্যাশ্রম শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত 
হতে পারেন । তখন শান্তিনিকেতনে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের আগ্রহ খুব একটা ছিল না । অনেকে এই শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচরণ করেছেন । জওহরলাল কিন্তু নির্দ্বিধায় তার একমার কন্যাকে পাঠালেন গুরুদেবের কাছে বেশ কিছুদিন শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যে ইন্দিরা পড়াশোনা করে ছিলেন । অনেকে বলে থাকেন , পরবর্তীকালে তাঁর মধ্যে যে সমস্ত বিরলতম চারিত্রিক যুগের সমাবেশ দেখা গিয়েছিল , তার সুত্রপাত হয় গুরুদেবের সান্নিধ্যে শান্তিনিকেতনে । পরবর্তীকালে তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হলেন সুইজারল্যান্ডে । সুইজারল্যান্ড প্রকৃতির এক নীরব পাঠশালা বুঝি । এবার লেন ইংল্যান্ডে । যে ইংল্যান্ডকে আমরা জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র বলে থাকি । ইংল্যান্ডে আসার পর তাঁর বৌদ্ধিক পরিমণ্ডল অনেকখানি বিস্তৃত হয়েছিল । তিনি যে এক বিশিষ্ট বাগ্মী হতে পেরেছিলেন তার অন্তরালে আছে ইংল্যান্ড প্রবাসের দিনগুলির অভিজ্ঞতা । ১৯৪২ সালে ইন্দিরা পার্শী পরিবারের সন্তান সুপুরুষ ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ে করেন । প্রেমের পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত এই বিয়ে সুসম্পন্ন হল । ইন্দিরা গান্ধীর দুই পুত্র , রাজীব গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধী । পরবর্তীকালে ইন্দিরা রাজনীতির ক্ষেত্রে সঞ্জয় গান্ধীকে , তাঁর উত্তরাধিকারী করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু ইন্দিরার দুর্ভাগ্য , এক বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু হয় । তখন বড়ো ছেলে রাজীব গান্ধী রাজনীতিতে আসেন । রাজীব গান্ধী মাকে নানা ভাবে অনুসরণ করতেন । পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । এইভাবে একই পরিবারে তিনজন সন্তান ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবার বিরলতম কৃতিত্ব ও গৌরব অর্জন করেন । ইন্দিরা গান্ধী জনপ্রিয়তার শীর্ষবিন্দুতে উঠে গিয়েছিলেন । একসময় তিনি কংগ্রেসের প্রাচীনপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । তাঁর একক সংগ্রামে এগিয়ে এসেছিলেন দেশের তরুণ যুবক এবং অন্তজ শ্রেণির মানুষেরা । তাদের চোখে ইন্দিরা বুঝি নবজীবনের অগ্রদূত । ইন্দিরা গান্ধী ওই প্রাচীন পন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়যুক্ত হয়েছিলেন । তাঁর এই আশ্চর্য সফলতায় সকলে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন । তখন থেকেই ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে একটি নতুন ধারার সূত্রপাত হয় । ইন্দিরা পন্থীদের বলা হয় ইন্দিরা কংগ্রেস । পরবর্তীকালে এটি আসল কংগ্রেসে পরিণত হয় । ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অথচ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন । তিনি আধুনিক সমাজবাদকে ভারতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন । তাঁর অন্যতম কৃতিত্বপূর্ণ ঘোষণা হল , রাজন্যভাতা বিলোপ এবং ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ । রাজন্যভাতা বিলোপের অন্তরালে যে সমাজতান্ত্রিক মনোভাব লুকিয়ে আছে আমরা তার প্রশংসা করবই । ব্যাঙ্ক জাতীয়করণও তাঁর একটি অত্যন্ত আধুনিক এবং প্রগতিশীল সম্পন্ন চিন্তাধারার দোত্যক । তাঁর এই সফল প্রয়াসে ব্যাঙ্ক আরও বেশি মানবতামুখী হতে পেরেছে । আজ ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক মানচিত্রে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উপলব্ধ হয় । এবং অন্তরালে ছিল ইন্দিরা গান্ধীর দূরদর্শিতা । ইন্দিরাগান্ধী একসময় কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন । যেমন ,
 দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা । এর ফলে অনেক সাধারণ মানুষকে বদ্ধকারার অন্তরালে দিন কাটাতে হয় । তখন কেউ কেউ ইন্দিরার মধ্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের পরিচয় দেখতে পেয়েছিলেন ।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইন্দিরার সবথেকে স্মরণযোগ্য কৃতিত্ব হল বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা । দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব - পাকিস্তানের মানুষ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারী পশ্চিম পাকিস্তানের ‘ বরুদ্ধে রক্তাক্ত আন্দোলন করেছিলেন । অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল , তবু পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাদের রাষ্ট্রকে স্বাধীন করতে পারেনি । অবশেষে এল ১৯৭১ - এর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ । হাজার হাজার মুক্তি ফোজের মৃত্যু হল । শত শত নারী ধর্ষিতা হলেন । এই সময় ইন্দিরা ভারতের সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশে অর্থাৎ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে পাঠিয়েছিলেন । পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে তুমুল সংঘর্ষের পর শেষ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাভাষী মানুষের স্বপ্ন সফল হল । স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করল । মুজিবর হলেন জাতির পিতা । এই ঘটনার অন্তরালে লৌহ মানবী ইন্দিরা গান্ধী যে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিলেন , আজ বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা মানুষ তা ভুলতে পারেন নি । ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে পাঞ্জাবে উগ্রপন্থী আন্দোলন দানা বাঁধে । এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল অমৃতসরের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির । তাই ইন্দিরা গান্ধীকে একটি অনভিপ্রেত সিদ্ধান্ত নিতে হয় । স্বর্ণমন্দিরকে উগ্রপন্থীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁকে অপারেশন ব্লু স্টার নামে একটি অভিযান চালাতে হয়েছিল । এর ফলে উগ্রপন্থী শিখেরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠে । অবশেষে ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হলেন আমাদের প্রাণপ্রতিমা ইন্দিরা গান্ধী । তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে দাঙ্গা লেগে গিয়েছিল । ইন্দিরা গান্ধীর আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন অলঙ্কৃত করেন । রাজীব গান্ধী ছিলেন উদারচেতা আধুনিকপন্থী বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ । আজ যে আমরা দেশে তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যার বিপ্লব দেখতে পাই , তার অন্তরালে আছে রাজীব গান্ধীর দূরদর্শী তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে , ভারতকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে বিজ্ঞানমনস্কতার দরকার । ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবনদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টির কথা বলা উচিত তা হল , তাঁর স্থির চিত্ততা এবং মানসিক জোর । যে কোনো দেশের রাষ্ট্রনায়ক হতে হলে এই দুটি গুণ থাকা আবশ্যক , কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বেশির ভাগ রাষ্ট্রনায়ক দোলাচলচিত্ততার অভিশাপে অভিশপ্ত হন । তাঁরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না । তার ফলে শেষে অনভিপ্রেত সমস্যা দেখা দেয় । ইন্দিরা গান্ধী কিন্তু এই ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত একরোখা তাঁর কিছু কিছু সিদ্ধান্ত দেশে বিতর্কের ঝড় তুলেছে — এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই । অনেকে তাঁকে গণতন্ত্র বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন । কিন্তু যদি আমরা নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গিতে ইন্দিরা গান্ধীর কার্যধারা বিচার করি , তাহলে দেখব তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন , যা আমাদের কাছে ইতিবাচক
 এবং আশাব্যঞ্জক হয়েছে । ভারতের সার্বিক স্বয়ম্ভরতা ছিল তাঁর স্বপ্নের ব্যাপার । তি চেয়েছিলেন ভারত যেন জগৎসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে । তাই ভারত কারো দাসত্ব না করে এ বিষয়ে তাঁর সুস্পষ্ট অভিমত ছিল । ইন্দিরা গান্ধী যে রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন , সেটি হল প্রগতিপন্থী আধুনি সাম্যবাদ । এই সাম্যবাদের সঙ্গে কার্লমাকর্স প্রবর্তিত ও উত্থাপিত সাম্যবাদের পাথ বিদ্যমান । ইন্দিরা চেয়েছিলেন ভারত যেন জাতীয়তাবাদী ভাবধারার মধ্যেই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারে । তার এই ভাবনার মধ্যে তাঁর পিতা জওহরলাল নেহেরুর প্রত প্রভাব ছিল । জওহরলাল ছিলেন আদ্যাক্ত সমাজতান্ত্রিক নেতা । ইন্দিরাও পিতার ন থেকে এই দার্শনিক সত্তাটি আহরণ করেছিলেন । এছাড়া ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক দর্শনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দূরদর্শ এবং ভবিষ্যৎ দর্শন । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে , আগামী দিনে ভারতবর্ষকে না সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । এর মধ্যে সব থেকে বড়ো সমস্যা হল জনসংখ ক্রমবর্ধমান চাপ । এই জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তিনি একাধিক পরিকল্পনা গ্র করেন । সমাজের প্রত্যন্ত শ্রেণীর মানুষ যাতে সভ্যতা ও উন্নয়নের মূলস্রোতে নিজেকে করতে পারে , সেজন্য ইন্দিরার চেষ্টার কোনো অন্ত ছিল না । তিনি বুঝতে পেরেছিলে দরিদ্র এবং ধনীর মধ্যে বিভাজন রেখাটি আছে সেটিকে অবিলম্বে তুলে দিতে হয় তা না হলে কোনো মানুষ ঈপ্সিত স্বাধীনতা পাবে না । এই ব্যাপারে তিনি সাধ্যম চেষ্টা করে গেছেন । তাই যখন আমরা তাঁর দৃষ্টি ভঙ্গির ওপর আলোচনা করি , ত এই কথাগুলি বিশেষভাবে আমাদের আকৃষ্ট করে । ইন্দিরা গান্ধী আজ আর আমাদের মধ্যে নেই , কিন্তু তার ভাবধারা আজও আমাে প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রাণিত করে । ভাবতে ভালো লাগে , যে ভারতবর্ষে একদা নারীজাতি ওপর প্রবল অত্যাচার করা হয়েছে , সেই ভারতের বুকেই এমন একজন দৃঢ় মে অধিকারিণী নারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে । তাই ইন্দিরা গান্ধীকে আমরা আজ সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি । ভারত ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ