পল্লীসমাজ Class - 8 Bengali Question - Answer
পল্লীসমাজ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১) পল্লীসমাজ গদ্যাংশটির লেখক কে?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২) পল্লীসমাজ গদ্যাংশের মুখ্য চরিত্রের নাম কি?
উত্তর: রমেশ
৩) পল্লীসমাজ গদ্যাংশ কত বিঘা জমি ডুবে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: একশো বিঘা
৪) বেনীর পদবী কি?
উত্তর: ঘোষাল
৫) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখ?
উত্তর: দুটি উপন্যাস হলো দেবদাস ও শ্রীকান্ত
৭) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোট গল্পের নাম লেখ?
উত্তর: কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোট গল্প হল লালু ও মহেশ।
৮) গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ কি করছিল?
উত্তর :চন্ডী মন্ডলের গোপাল সরকার এর কাছে বসিয়ে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল হয়।
৯) গ্রামের একমাত্র ভরসা কি ছিল?
উত্তর: একশো বিঘাটাই মাঠটাই গ্রামের একমাত্র ভরসা ছিল।
১০) রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল?
উত্তর: রমা আকবরকে বাঁধ পাহারা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল।
১১) বোধকরি এই কথাটি হয়েছিল -- কেন কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
উত্তর: বেনী ঘোষাল ও তোসামোদকারী হালদারদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত কথাবকথন চলছিল । চাষীদের জমি জলমগ্ন হয়েছিল, তারা বিপাকে পড়েছিল -- এখানে সেই কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
১) কুড়িজন কৃষক রমেশ এর কাছে এসে কেঁদে পড়ল করল কেন?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পল্লীসমাজ ' গদ্যাংশে কুড়িজন কৃষকের কাছে এসে কেঁদে পড়ল কারণ অবিরাম বৃষ্টিতে তাদের চাষের ক্ষেত জলবগ্ন হয়ে গিয়েছে। ফসল পচে নষ্ট হয়ে গেলে সারা বছর তাদের খাদ্য সংস্থান করা কঠিন হবে। তখন তাদের অনাহারে মৃত্যু অবধারিত হয়ে উঠবে।
২) বেনী জল বার করতে চাইনি কেন ?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পল্লীসমাজ গদ্যাংশের চাষীদের জমির পাশে বেনী ঘোষালের একটা জলা আছে। বাঁধ দিয়ে ঘোসাল ও মুখুযে রাত মাছ চাষ করে এই অবস্থায় বাঁধ কেটে দিলে চাষিরা উপকৃত হলেও দু- তিনশো টাকার মাছ নষ্ট হবে। সেই ক্ষতি স্বীকার করতে বিনী ঘোষাল নারাজ ছিল। তাই সে বাঁধ কেটে জল বার করতে দিতে চাইনি।
৩) রমা রমেশের অনুরোধ রাজি হয়নি কেন ?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ পল্লীসমাজ ’ পাঠ্যাংশে রমা রমেশের অনুরোধ রাখতে রাজি হয়নি , কারণ সে মনে করে এ জমিদারি তার নামে থাকলেও মূলত পিতা যদু মুখুয্যে নাবালক সন্তান যতীনকেই তা দিয়ে গিয়েছেন । রমাকে অভিভাবকত্বে ও দক্ষতায় তা রক্ষা করতে হবে । তাই পঁচিশ - ছাব্বিশ বছরের জমিদারি বুদ্ধিতে ক্ষতি স্বীকার করলে তাদের প্রভূত লোকসান হবে বলে তার ধারণা । এ ছাড়া বাঁধ ঘোষালদেরও , তাই এক্ষেত্রে বেণীরও মত নেই । তাই নিজের ইচ্ছা খাটিয়ে সে এ কাজ করতে পারে না ।
৪) রমা আকবরকে ডেকে এনেছিল কেন ?
উত্তর : কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ পল্লীসমাজ ’ পাঠ্যাংশে রমার কাছ থেকেও রমেশ সহযোগিতা না পেয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে যায় গরিব গ্রামবাসীর স্বার্থ সে লঙ্ঘিত হতে দেবে না । তাদের বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নিজেই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে । রমেশের এই মন্তব্যেই রমা বুঝেছিল একটা বিরাট অনর্থ ঘটতে চলেছে । তাই সে পিরপুরের প্রজা পাঁচ গ্রামের সর্দার , খ্যাতনামা লাঠিয়াল আকবরকে বাঁধরক্ষার জন্য ডেকে এনেছিল ।
৫) রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় ফ্যালফ্যাল্ করিয়া চাহিয়া রহিল ’ —রমার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন ?
উত্তর : কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ পল্লীসমাজ ’ পাঠ্যাংশে রমেশ বাল্যসখী রমাকে গ্রামবাসীদের দুরবস্থার কথা বলেও বাঁধ কাটার অনুমতি পায়নি । রমা সম্পর্কে রমেশের অন্য ধারণা ছিল । কিন্তু যখন রমা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় , তার পক্ষে ক্ষতি স্বীকার করা সম্ভব নয় এবং দরদি রমেশই যেন ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেয়— বিপন্ন কৃষকদের দুর্দিনে রমেশের কথায় রমার এরূপ কঠিন প্রতিক্রিয়া তার হৃদয়ের সংকীর্ণতাকেই প্রকাশ করে— যা রমেশের কাছে একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না । তার স্থান রমেশের দৃষ্টিতে ছিল অনেক পরে । নিজেকে সংযত করতে না পেরে সে জানিয়েছিল , রমাকে শুধু নিষ্ঠুরই বলা যায় না , সে অত্যন্ত নীচ এবং সংকীর্ণমনা । এই কথা শুনে রমা অত্যন্ত অপমানিত বোধ করে এবং বিস্ফারিত অশ্রুসজল চোখে রমেশের দিকে চেয়ে থাকে ।
৬) মোরা নালিশ করতি পারব না । ' –কে এ কথা বলেছে ? সে নালিশ করতে পারবে না কেন ?
উত্তর: কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ' পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশে পাঁচ গ্রামের সর্দার পিরপুরের প্রজা , লাঠিয়াল আকবর এ কথা বলেছিল । বাঁধরক্ষার জন্য রমা লাঠিয়াল আকবরকে ডেকে পাঠিয়ে রমেশের দলবলকে শায়েস্তা করার হুকুম দেয় , কিন্তু আকবর দেখে ছোটোবাবু নিজেই লাঠি হাতে বাঁধ কাটার কাজে তদারকি করছে । গ্রামবাসীদের একশো বিঘা জমি বাঁচাতেই তার এই প্রচেষ্টা । আকবর নিজে গ্রামের বাসিন্দা হয়ে গ্রামবাসীর বিরোধিতা করতে পারে না । হুকুম মানতে গিয়ে রমেশের লাঠির আঘাতে সে আহত হয়ে ফিরে আসে । বেণী ঘোষাল তাকে ও তার ছেলেদের রমেশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে বললে সে রাজি হয় না । গ্রামবাসীদের স্বার্থে ছোটোবাবু রমেশ যে কাজ করেছে তার জন্য সে নিজেও তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে , তার কথাতেই তা প্রকাশ পেয়েছে । তাই বিনা কারণে সে তার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারবে না ।
0 মন্তব্যসমূহ